যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাট গেটজের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। দুই নারী এই অভিযোগ তুলেছেন এবং প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু ছবি ও নথি প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে নিউইয়র্কে গেটজের সঙ্গে একটি ভ্রমণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের *আউটফ্রন্ট* অনুষ্ঠানে এরিন বারনেটের সঙ্গে আলাপচারিতায় দুই নারীর আইনজীবী জোয়েল লেপার্ড এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ভ্রমণের সময় গেটজ ওই নারীদের অর্থ প্রদান করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এমনকি ফক্স নিউজ স্টুডিওতে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে যাওয়ার সময়ও ওই নারীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জোয়েল লেপার্ড আরও জানান, গেটজ প্রায়ই ওই দুই নারীকে সেলফি ও নগ্ন ছবি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করতেন। অভিযোগকারীরা এ ধরনের বেশ কয়েকটি সেলফি এবং অর্থ লেনদেনের নথি নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এক নারীকে ছয় হাজার ডলারের বেশি এবং অন্য নারীকে চার হাজার ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করেছিলেন গেটজ।
এই অভিযোগের বিষয়ে ম্যাট গেটজ কোনো অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছেন। সিএনএনের অনুরোধে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প সম্প্রতি ফ্লোরিডার রিপাবলিকান নেতা গেটজকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করেছেন। এর আগে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গেটজের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটি তদন্ত করলেও ট্রাম্পের মনোনয়নের পর কার্যত সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।